হরিহরপাড়ায় আবারও আগুনে সর্বনাশ । বারবার আগুন কেন ?

মামিনুল ইসলাম, হরিহরপাড়াঃ  হরিহরপাড়ার আগুনে পুড়ল বাড়ি। আগুনে পুরে ছাই  রান্না ঘর ও থাকার  ঘরও। রবিবার অগ্নিকান্ডের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল হরিহরপাড়া বেনেকোলা এলাকায়। জানা গিয়েছে এদিন বেলা ১১টা নাগাদ বেলকোলা এলাকায় বাড়িতে রান্না চলছিল  । সেই সময় উনুন থেকে আগুন ছড়িয়ে পরে রান্না ঘরে। আগুন রান্না ঘর থেকে ছড়িয়ে পরে পাশের একটি বাসকরা ঘরেও। আগুনে পুরে যায় দুটি ঘরই। স্থানীয়রা পাম্প চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এই আগুনে পুরে নষ্ট হয়ে যায় কৃষক পরিবারের সমস্ত কিছুই। আগুনে সব হারিয়ে দিশেহারা পরিবার। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার চাইছেন সরকারি সাহায্য। এই অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায়  হরিহরপাড়া থানার পুলিশও। জেলাজুড়ে কয়েকিদনের মধ্যে একাধিক অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে।

ঈদের সকালে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে  নবগ্রামের কিরীটেশ্বরী অঞ্চলের বেলেপুকুর গ্রাম। গ্রামের  বাসিন্দা মিজানুর রহমান  শনিবার সকালে ঈদের নামাজ সেরে বাড়ি ফিরে দেখেন ভয়াবহ আগুনে ভস্মীভূত তাঁর বাড়ি। আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায় বাড়িতে থাকা আসবাব থেকে সোনার গহনা ও নগদ টাকা এমনকি গবাদি পশুও।

ডোমকলের মালতিপুর এলাকাতেও অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে । ঈদের সকালে নামাজ পড়তে যান বৃদ্ধ মহিদুল মন্ডল। বাড়িতে রান্না করছিলেন তাঁর স্ত্রী। সেই সময়ই ঘটে দুর্ঘটনা। নামাজ সেরে বাড়ি ফিরে মহিদুল মন্ডল দেখেন দাউদাউ করে জ্বলছে তাঁর বাড়ি। ঘরে থাকা আসবাব পত্র থেকে টাকা পয়সা সমস্ত কিছু নষ্ট হয়ে যায়। স্থানীয়রা ছুটে এসে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। পরে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছায় দমকলের একটি ইঞ্জিনও। এখন নিয়ন্ত্রণে আগুন। কিন্তু পুড়ে শেষ বাড়ির সব কিছুই।

২০এপ্রিল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে  সামসেরগঞ্জে। আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে ছাই হয়ে যায়  একাধিক বাড়ি।  মুর্শিদাবাদের  সামসেরগঞ্জে  মধ্য চাচন্ড  গ্রামে  সন্ধ্যায়  পাটকাঠি থেকে  লাগে আগুন। মূহূর্তের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে একাধিক বাড়িতে। আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান গ্রামের মানুষ। আগুন ভষ্মীভূত হয়ে গিয়েছে ৩ টি বাড়ি। গ্রামবাসীদের সহযোগিতায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আসে।  ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের একটি ইঞ্জিন। এদিন সকালেও আগুন লাগে  সামশেরগঞ্জে  অন্তরদীপা বাজার এলাকায়। চাচন্ডের বাসিন্দা মহম্মদ আবু সুফিয়ান  জানান, ইফতারের সময় পাটকাঠি থেকে আগুন লাগে। সেই আগুন তিন চারটে বাড়িতে ছড়িয়ে পরে। বহু গবাদি পশুর মৃত্যু হয়েছে। গ্রামের মানুষ সবাই মিলে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান। কিন্তু বারবার জেলার বিভিন্ন প্রান্তে গ্রাম থেকে  অগ্নিকান্ডের খবর আসছে । তাতেই ছড়িয়েছে উব্দেগ।